• রাত ৮:১৭ মিনিট বৃহস্পতিবার
  • ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ সোনারগাঁও পৌরসভায় কালামের কেন্দ্র কমিটির সভা সোনারগাঁয়ে বিশ বছর পর বাকপ্রতিবন্ধী ভাইকে ফিরে পেলেন তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান কালামকে বিজয়ী করেতে জামপুরে আলোচনা সভা সোনারগাঁয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন ৫ প্রার্থী সোনারগাঁয়ে ভবন ঘেঁষে মাটি খনন, ভেঙ্গে পড়লো পাশের স্থাপনা কালাম একমাত্র যোগ্য প্রার্থী, উপজেলা নির্বাচনে তাকে ভোট দিন: ডা. বিরু সোনারগাঁয়ে সার্বজনীন পেনশন মেলা ও স্পট রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্ধোধন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বউয়ের মামলা সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, ৪ জন বাতিল সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ সানাউল্লাহকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যা চেষ্টা ও ১৫ মামলার আসামী গ্রেপ্তার বন্দরে ইউএনও অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যের আত্মহত্যা সোনারগাঁয়ে ২দিন ধরে মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ সোনারগাঁয়ে দুই ব্যাক্তি আটক, ৪৯ লাখ জাল টাকা উদ্ধার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আজিজুল ইসলাম মুকুল সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল তাপদাহের প্রভাব পড়েছে সোনারগাঁয়ের বাজার ও মার্কেটগুলোতে মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী প্রচারনায় নেতাকর্মীর ঢল সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
সা আ. ও আদম আ. এর বাদানুবাদ: তুহিন মাহমুদ

সা আ. ও আদম আ. এর বাদানুবাদ: তুহিন মাহমুদ

Logo


একদা মুসা আ. আল্লাহ তায়ালাকে বলেন, হে আমার রব, আপনি আমাকে আদম আ. কে দেখান। যিনি আমাদেরকে এবং তাঁর নিজেকে জান্নাত থেকে বের করিয়ে দেন।
আল্লাহ তায়ালা দেখানোর ব্যবস্থা করে দিলেন।

তখন মুসা আ. বলেন,
হে আদম আ.! আপনি সেই আদম আ. যাকে আল্লাহ নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, আপনাকে যাবতীয় বিষয়ের নাম সমূহ শিক্ষা দেন, তাঁর ফেরেশতাদেরকে আপনার সামনে সিজদাবনত করানোম মাধ্যমে সম্মানিত করেন এবং আপনাকে জান্নাতে বসবাস করতে দেন। তারপর আপনি কিভাবে এমন একটি কাজ করে বসলেন যার ফলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছেন? আপনি কিভাবে এমন কাজটি করতে পারলেন?

জবাবে আদম আ. বলেন, তুমি কে?
মুসা আ. উত্তর করলেন, আমি মুসা আ.। আদম আ. বললেন, তুমি কি বনী ইসরায়েলের নবী মুসা যার সাথে আল্লাহ পর্দার আড়াল থেকে সরাসরি কথা বলেছেন কোন দূত ছাড়াই?
এবং রিসালাতের জন্য মনোনীত করেছেন? তোমার উপর তাওরাত কিতাব অবতীর্ণ করেছেন? মুসা আ. জবাব দিলেন, জী হ্যাঁ!
এবার আদম আ. বললেন, আচ্ছা, তাহলে এবার বলতো, আমাকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছে নাকি আমাকে সৃষ্টি করার আগেই আমার এই কৃতকর্মের কথা কিতাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে?
মুসা আ. বললেন, আপনার কৃতকর্মের কথা আগে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

আদম আ. তখন বললেন, তাহলে আমার সৃষ্টির ৪০বছর আগেই যেখানে আমার এ কৃতকর্মের কথা উল্লেখ রয়েছে যে আমি এভাবে জান্নাতে বাস করার সময় নিষিদ্ধ ফল খেয়ে ভুল করবো যার ফলে আল্লাহ তায়াল আমাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করবেন। সেখানে তুমি আমাকে কিভাবে দোষারোপ করছো?

হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন এই আলোচনা করেন তখন তিনি বলেন, এভাবেই হযরত আদম আ. মুসা আ. এর উপর জয়লাভ করেন।

###
বিতাড়িত ইবলিশ এবং আদম আ. এর সাথে যে মিল অমিল ছিলো।

ইবলিশ কে আল্লাহ তায়ালা আদেশ করেছিলেন আদম আ. কে সেজদা করার জন্য কিন্তু সে তা প্রত্যাখ্যান করে। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ অমান্য করে।

এবং আদম আ. কে আল্লাহ তায়ালা নিষেধ করেছিলেন নির্দিষ্ট ফল গাছের কাছে যেতে এবং ফল খেতে কিন্তু তিনিও সেই আদেশ অমান্য করেন।
তার মানে ইবলিশ এবং আদম আ. দুজনেই আল্লাহর আদেশ অমান্য করে। এ ক্ষেত্রে দুজনেই সেইম।
কিন্তু অপরাধ করার পর দুজনের প্রতিক্রিয়া ছিল ভিন্ন।
ইবলিশ আদেশ অমান্য করার পরও নিজের ভুল স্বীকার করেনি বরং সে আল্লাহর কাছে খোড়া যুক্তি দেখিয়েছে। যেটি আল্লাহ মোটেও পছন্দ করেন নি। তাই তার উপর আল্লাহর লানাত বর্ষিত হচ্ছে।

কিন্তু আদম আ. ভুল করার পর সাথে সাথেই নিজের অপরাধের জন্য লজ্জিত হয়েছেন, নিজের ভুল স্বীকার করেছেন, এবং আল্লহ তায়ালার কাছে কাকুতি-মিনতি করে বলেছেন, “হে আমাদের প্রভু, আমরা নিজেরা ভুল করেছি, আপনি যদি ক্ষমা এবং দয়া না করেন তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।” সুরা আ’রাফ, আয়াত ২৩।
আল্লাহ তায়ালা আদম আ. কে জান্নাত থেকে বের করে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন। অথচ নিজের কাছে সঠিক যুক্তি থাকা সত্ত্বেও তিনক তা বলেন নি। তিনি কিন্তু আল্লাহ তায়ালাকে বলতে পারতেন যে এটি আপনার পূর্বপরিকল্পনা। আপনি ফেরেশতাদের কাছে আমার পৃথিবীতে পাঠানোর কথা আগেই বলেছেন আমার এই ভুল করার কথা এবং তাই আমাকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু আদম আ. তা করেন নি এবং আল্লাহর দেয়া শাস্তি স্বরূপ পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়ার বেপারে কিছুই বলেন নি। বরং তিনি অনুতপ্ত হয়েছেন এবং আল্লাহর ক্ষমা ও রহমত প্রার্থনা করেছেন।

ইবলিশ এবং আদম আ. এর মধ্যে এটিই পার্থক্য। ইবলিশ আল্লাহর আদেশ অমান্য করার পরও অপরাধ স্বীকার করা দূরের থাক বরং নিজের মনগড়া যুক্তি প্রকাশ করেছে।
কিন্তু আদম আ. যা করেছেন তার ফলেই আমরা আবার নির্দিষ্ট সময় পর জান্নাতে ফিরে যেতে পারবো। তার সন্তানদের মধ্যে যারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করবে এবং প্রভুর কাছে ক্ষমা চাইবে তারাই আবার জান্নাতে ফিরে যাবে। এটাই আল্লাহর ওয়াদা। আর যারা ইবলিশের মত মনগড়া যুক্তি প্রকাশ করে যে আমার ভুলভ্রান্তি সব আল্লাহর ইচ্ছায় হয় তাদের বেপারে খুব ভয় হয়।
আল্লাহ সবাইকে মাফ করুক। ❤


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution